শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন

আপডেট
মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিলো কুবি প্রশাসন

মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিলো কুবি প্রশাসন

আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি:
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে আয়কৃত অর্থ থেকে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি)  মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ-২০২২ এর চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচাক ড. মো: রাশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা ও সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খলিল আহাম্মদের সঞ্চালনায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ২৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি হিসাবে জনপ্রতি আট হাজার পাচঁশত টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
এ  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. মো: হুমায়ূন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ ড. মো: আসাদুজ্জামান। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিলা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, অ্যাকাডেমিক লাইফে শিক্ষার্থীরা যে সাফল্য, প্যাশন, অধ্যবসায়  প্রদর্শন করেছে তার স্বীকৃতিস্বরূপ এই স্কলারশিপ তাদেরকে দেয়া হচ্ছে। আজকে যারা সাফল্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে তারা তাদের বন্ধুবান্ধবদেরও অনুপ্রাণিত করবে, তাদেরকে সাহায্য করবে।শিক্ষা হওয়া উচিত গঠনমূলক, অর্থপূর্ণ ও প্রকৃত, শিক্ষা এমন হবে না যা ধ্বংসাত্মক।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এমনভাবে লেকচার দিতে হবে যাতে এটা কেবল শিক্ষকরাই নয়, শিক্ষার্থীরাও তা বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীদের বই মুখস্ত করানো যাবে না, তাদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দিতে হবে যেন তারা কোন কিছু বিচার করতে পারে, যুক্তি খন্ডন করতে পারে, নতুন কিছু পরিকল্পনা করতে পারে।
 বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বলেন,  নতুন কিছুর সূচনা করার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এই স্কলারশিপ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন সম্মানিত হয় তেমনি তাদের দায়িত্বশীল করে তোলে। যা মূলত মেধার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করা সর্বোপরি দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, মাত্র ৮৫০০ টাকা এককালীন দিয়ে শিক্ষার্থীদের সচ্ছলতা ফেরানো সম্ভব নয়। আমরা এই অ্যামাউন্টটা দিচ্ছি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মেধার একটা স্বীকৃতিস্বরূপ যাতে তারা উৎসাহিত হয় এবং তাদের এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে।”
এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রথমবারের মতো অসচ্ছলতা ও মেধাতালিকার ভিত্তিতে ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন ছাত্রবৃত্তি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |